এহিয়া আহমেদ:
নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল হান্নানকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়েছে।
২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব ভবনে অনুষ্ঠিত সংর্বধনায় প্রেসক্লাব সভাপতি এম.এ আহমদ আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো সেলিম তালুকদারের সঞ্চালনায় আয়োজিত সংবর্ধনায় সংবর্ধিত অধ্যাপক মোঃ আব্দুল হান্নানকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী সেফু। বিশেষ অতিথি ছিলেন দারুল হিকমাহ জামেয়া আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ লুৎফুর রহমান। এছাড়াও অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য দেন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফখরুল আহসান চৌধুরী, মোঃ আনোয়ার হোসেন মিঠু, সময় পত্রিকার সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এটিএম সালাম, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এম.এ বাছিত, সাবেক সভাপতি উত্তম কুমার পাল হিমেল, মোঃ সরওয়ার শিকদার, মুরাদ আহমদ, বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ চৌধুরী, ছনি আহমেদ চৌধুরী, মোঃ নিজামুল ইসলাম চৌধুরী, অঞ্জন রায় প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বর্তমান অর্থ সম্পাদক মোঃ শওকত আলী, সিনিয়র সাংবাদিক সুবিনয় রায় বাপ্পি, সলিল বরণ দাশ, হাবিবুর রহমান শামীম, সাগর আহমেদ, ইকবাল হোসেন তালুকদার, জুয়েল আহমেদ, স্বপন রবি দাস, নুরুল আমিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী সেফু বলেন জাতির বিবেক সাংবাদিকদের কর্মকান্ডে সার্বিক সহযোগিতা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। প্রেসক্লাবের নব-নির্মিত ভবন উন্নয়নে সহযোগিতার জন্য সমাজের বিত্তবানদের আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, অধ্যাপক আব্দুল হান্নান স্যার নবীগঞ্জ তথা হবিগঞ্জ বাসীর জন্য গৌরব। শিক্ষা, চিকিৎসা, সমাজ সেবায় তিনি সার্বিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে মানব সেবায় নিবেদিত প্রাণ। আমরা উনাকে সব সময় আমাদের পাশে চাই।
সংবর্ধিত অধ্যাপক আব্দুল হান্নান বলেন, শিক্ষা ও সামাজিকতায় অবদান রাখা প্রত্যেক গুনিজনের জন্য সামাজিক রীতি-নীতির অবিচ্ছদ্য অংশ। সাংবাদিকরা সমাজের আয়না, দেশ ও সমাজ গঠনে তাদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসক্লাব উন্নয়নে পাশে ছিলাম পাশে থাকবো। দলমত নির্বিশেষে সাংবাদিকদের পাশে থাকার আহবান জানান তিনি।
অধ্যাপক আব্দুল হান্নান নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। আশির দশকে সিলেট এমসি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। দেশ ও মাটির টানে নবীগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা বিস্তার সমাজ সেবা মূলক কর্মকাণ্ডে সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।