বন্যায় দেশের প্রায় ১২টি জেলায় জনজীবন একেবারে নাজেহাল হয়ে উঠেছে। এবারের বন্যায় ৩য় ধাপে নবীগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বন্যার পানি এখনও কমেনি। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি বেসরকারি ভাবে ছিন্নভিন্ন ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছেন এ অঞ্চলের বন্যার্ত মানুষ।
২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর ও মাধপুর গ্রামে প্রায় ২০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে দারুল আজহার লতিফিয়া সিদ্দিকীয়া মডেল মাদরাসা শেরপুর। প্রতিষ্ঠানটির সুপার মাওলানা শুয়াইবুর রহমানের সার্বিক তত্বাবধানে এ ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তিনি জানান, ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য ইউকে সহ বিভিন্ন দেশে বসবাসরত উনার পরিবারের সদস্যদের অর্থায়নে এই মানবিক সাহায্য পরিচালনা করা হয়েছে।
এতে প্রতিষ্ঠানটির সহ-সুপার মাওলানা সৈয়দ জাফর কল্লোল, মাওলানা মারুফ আহমদ, রবিউল ইসলাম সোহেল, দ্যা স্কলার্স জোন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অলিউডর রহমান, সাংবাদিক এহিয়া আহমেদ, সবুজ, রায়হান, শাকিল, সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির সুপার মাওলানা শুয়াইবুর রহমান বলেন, বন্যায় কবলিত মানুষের কাছে সামান্য কিছু পরিমাণ হাদিয়া পরিবার এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিতরণ করছি যাতে করে বন্যার্তদের সাথে কষ্ট একটু হলেও ভাগাভাগি করতে পারি। এই দুর্যোগে একে অন্যের পাশে দাঁড়ানো ছাড়া উপায় নেই। এছাড়া সমাজের বিত্তশালীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান বন্যার্তদের সেবায় সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে। ২৮ আগস্ট বুধবার উক্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে আসেন মাদরাসার শিক্ষকগণ।