বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা। টুর্নামেন্টের ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে সোমবার, রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। বিপিএলকে আরও জাঁকজমকপূর্ণ করতে না পারার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আক্ষেপ শোনা গেলেও এবার এ নিয়ে জোর প্রস্তুতি চলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আজ মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানান, তার সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এটি বিপিএলের একাদশ আসর, এবং আমরা এখনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবস্থায় কিছুটা সংগ্রাম করছি। তবে আমি বোর্ড সভাপতি হিসেবে এটা স্বীকার করতে কোনো অসুবিধা নেই। সবসময় একটা শুরু থাকে, যেখান থেকে আমরা আরও ভালো করতে পারি।’
তিনি জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিপিএল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় ক্রীড়া উপদেষ্টার মাধ্যমে একটি দিন সময় দিয়েছেন বিসিবিকে। এই আলোচনায় বোর্ডের কর্মকর্তারা, ক্রীড়া উপদেষ্টা এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা অংশ নিয়েছেন। ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমরা কিছু চমৎকার আইডিয়া পেয়েছি, যেগুলো নিয়ে আমাদের বিপিএল টিম কাজ করছে।’
গতকাল ক্রীড়া উপদেষ্টা বিসিবিতে এসেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া পরামর্শগুলো নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেখতে। ফারুক আহমেদ জানান, এ নিয়ে আবারও ড. ইউনূসের দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন, এরপরই চূড়ান্ত হবে বিপিএলকে কীভাবে আরও জাঁকজমকপূর্ণ করা যায়।
ফারুক আরও বলেন, ‘আমরা আজকে একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছি। আপনারা জেনে অবাক হবেন, একটি টুর্নামেন্টে কত নতুন বিষয় যুক্ত করা সম্ভব। যদিও এ মেয়াদে এটি আমাদের প্রথম প্রয়াস, কিন্তু আমরা কিছু অসাধারণ আইডিয়া বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। আশা করছি, এই বিপিএলে দর্শক, মিডিয়া, সবাই নতুন কিছু উপভোগ করবেন।’
ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টের অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিসিবি এখানে মূল দায়িত্ব পালন করবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের মতো অভিজ্ঞ ব্যক্তি অলিম্পিকের ডিজাইনে ইনপুট দিয়েছেন, তাই তার অভিজ্ঞতা ও রিসোর্স আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যই তাকে বিপিএল আয়োজক দলের সঙ্গে কাজ করতে অনুরোধ করেছি।’
আরো পড়ুনঃ অজুহাত নেই, তবে আক্ষেপ আছে হৃদয়ের