জিনেদিন জিদান একবার বলেছিলেন বার্সা ৪০টি পাস দিয়ে যা করবে, টনি ক্রুস সেটা এক পাস দিয়ে করে ফেলবেন।
বেশি দূর যাওয়া লাগবে না, ক’দিন আগে যারা রিয়াল বনাম বায়ার্ন এর মধ্যবর্তী খেলা দেখেছেন, তারা বুঝতে পারবে জিদানের কথার মাহাত্ম্য। ফুটবল ইতিহাসে তিনি একমাত্র খেলোয়াড় যিনি টানা ১০ বছর ধরে পাসিং একুরেসি ৯০% এর উপরে রেখেছিলেন। সত্যি অবিশ্বাস্য, তিনি টনি ক্রুস যার খেলা দেখলে আপনি প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হবেন।
গ্যারেথ বেলকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল,
‘আপনি কি জানেন রিয়াল মাদ্রিদের একমাত্র খেলোয়াড় হচ্ছেন টনি ক্রুস যিনি নিজের বুট নিজেই পরিষ্কার করেন?’
বেলের অভিব্যক্তিই বলে দিয়েছিল, ব্যাপারটা কতটা বিস্ময়কর। রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবের একজন মিডফিল্ড-মায়েস্ত্রো নিজেই পরিষ্কার করছেন নিজের বুট! অবশ্য টনি ক্রুস মানুষটাই এমনই। চুপচাপ নিজের কাজটা করে যান, নিভৃতে-আবডালে।
আচ্ছা বলেন তো, আপনি কেন তাকে মনে রেখেছেন? বেলো হরাইজন্তে ব্রাজিলকে ছিঁড়েখুড়ে ফেলা ক্রুস হিসেবে, নাকি লস ব্ল্যাঙ্কোসদের ট্রিনিটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের নেপথ্যের নায়ক হিসেবে? নাকি মনে রেখেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপে সুইডেনের বিপক্ষে অন্তিম মুহূর্তের ফ্রি-কিকে, আহ, অবিশ্বাস্য? এটাই সত্যি যে, আর যে কারো থেকেই অনেকটাই আড়ালে থাকেন ক্রুস, সম্ভবত তিনি এই রকম থাকতে ভালোবাসেন । তবে আপনি মনে রাখুন আর না-ই রাখুন, প্রজন্মের সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে ক্রুসের নাম উচ্চারিত হবে বেশ জোরেশোরেই।